×

সঞ্চয়পত্র হচ্ছে জাতীয় সঞ্চয় অধিদপ্তরের বিদ্যমান জাতীয় স্কীম।  বর্তমানে ৪ ধরণের সঞ্চয়পত্র চালু আছে। 

ক) পাঁচ বছর মেয়াদী বাংলাদেশী সঞ্চয়পত্র : একক নামে ৩০ লক্ষ অথবা যুগ্ম নামে ৬০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত কেনা যায়। মেয়াদান্তে মুনাফা দেয়া হয়।

খ) ৩ মাস অন্তর মুনাফা ভিত্তিক সঞ্চয়পত্র : একক নামে ৩০ লক্ষ অথবা যুগ্ম নামে ৬০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত কেনা যায়। তিন মাস পর পর মুনাফা পাওয়া যায়। 

গ);পারিবারিক সঞ্চয়পত্র: ১৮ ও তদুর্ধ্ব বয়সের যেকোন বাংলাদেশী নাগরিক কিনতে পারে। একক নামে সর্বোচ্চ  ৪৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত কেনা যায়। প্রতি মাসে মুনাফা পাওয়া যায়।

ঘ) পেনশন সঞ্চয়পত্র: অবসরপ্রাপ্ত ব্যক্তি এবং মৃত চাকুরীজীবির পারিবারিক পেনশন সুবিধাভোগী স্বামী/স্ত্রী/সন্তান কিনতে পারে। একক নামে সর্বোচ্চ ৫০ লক্ষ টাকার সঞ্চয়পত্র কিনতে পারে। তিন মাস পরপর মুনাফা পাওয়া যায়। 

অনলাইন সিস্টেম চালু হওয়ার পর সব রকম মিলিয়ে একক নামে সর্বোচ্চ ৫০ লক্ষ এবং যুগ্ম নামে ১ কোটি টাকার কেনা যায়।  এখন সঞ্চয় অফিস, পোস্ট অফিস এবং বেশীরভাগ  সরকারি এবং বেসরকারি ব্যাংক থেকে সঞ্চয়পত্র কেনা যায়। তবে নিজের ব্যাংক একাউন্ট থাকতে হবে। ১ লক্ষ টাকার উপরে সঞ্চয়পত্র কিনলে TIN সার্টিফিকেট লাগে। 

 সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগ করলে আয়কর গননার সময় রেয়াত পাওয়া যায়। একজন করদাতা সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগ করলে বার্ষিক আয়ের ২৫ শতাংশ পর্যন্ত বিনিয়োগ রেয়াতের জন্য অনুমোদন পাবেন। করদাতার  সঞ্চয়ে বিনিয়োগের বিপরীতে অনুমোদন যোগ্য অংকের ১৫% রেয়াত পাবেন। 


 তবে এই রেয়াত কিভাবে গননা হয় তা নিয়ে অনেকের সুস্পষ্ট ধারনা থাকে না বলে তারা দ্বিধান্বিত হন।  সাধারন নিয়ম হচ্ছে ১লা জুলাই থেকে পরবর্তী বছরের ৩০ শে জুনের মধ্যে যে সঞ্চয়পত্র কেনা হবে তা সেই বছরের আয়করের হিসেবে দেখানো যাবে। যেমন কেউ ১লা জুলাই ২০২১ হতে ৩০শে জুন ২০২২ পর্যন্ত সময়ের মধ্যে কোন সঞ্চয়পত্র কিনলে তা ২০২২-২০২৩ করবর্ষের আয় ব্যায়ের হিসেবে দেখাবেন ও সেই বর্ষের বিনিয়োগ দেখিয়ে রেয়াত গ্রহন করবেন। অর্থাৎ সঞ্চয়পত্রের রেয়াত কেবল ক্রয়কালীন বছরের রেয়াত হিসেবে দেখানো যাবে। আবার বিনিয়োগ দেখিয়ে রেয়াত নেবার পর মেয়াদ শেষ হবার পূ্র্বে যদি কেউ টাকা তুলে নেন তাহলে সেই টাকার উপর তাকে ট্যাক্স দিতে হবে।