পাওয়ার অব অ্যাটর্নি বা মোক্তার নামা:
পাওয়ার অব অ্যাটর্নি আইন,২০১২ অনুযায়ী যে দলিল দ্বারা কোন ব্যক্তি তার পক্ষে উক্ত দলিলে বর্ণিত কাজ সম্পাদনের জন্য আইনানুগ ভাবে অন্য কোন ব্যক্তির নিকট ক্ষমতা অর্পণ করে সেই দলিলই হলো পাওয়ার অব অ্যাটর্নি ।
তাছাড়া ১৮৯৯ সালের স্ট্যাম্প আইনের ধারা ২(২১) এবং তফসিল ১ এর অনুচ্ছেদ ৪৮ এ আমা মোজ্তারনাম সম্পর্কে বলা হয়েছে, এটি হলো একধরনের নিদর্শন পত্র বা দলিল যা সেই আমমোক্তার নামা সম্পাদনকারী ব্যক্তির নামে বা তার পক্ষে কার্য সম্পাদনের জন্য কোন সুনির্দিষ্ট ব্যক্তিকে ক্ষমতা প্রদান করে।
পাওয়ার অব অ্যাটর্নি আইন,২০১২ আইনে দুধরনের পাওয়ার অব অ্যাটর্নির কথা বলা আছে।
অপ্রত্যাহারযোগ্য পাওয়ার অব অ্যাটর্নি
সাধারণ পাওয়ার অব অ্যাটর্নি
অপ্রত্যাহারযোগ্য পাওয়ার অব অ্যাটর্নির :
স্থাবর সম্পত্তি বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে বিক্রয় চুক্তি সম্পাদনের বা ঋণ গ্রহণের বিপরীতে স্থাবর সম্পত্তির বন্ধক প্রদানের প্রদত্ত কোন পাওয়ার অব অ্যাটর্নি অথবা স্থাবর সম্পত্তির বিপরীতে পণ মূল্য গ্রহনের বিনিময়ে ভূমি উন্নয়ন সহ উক্ত দলিল সম্পাদনের ক্ষমতা প্রদান করেতে যে পাওয়ার অব অ্যাটর্নি প্রস্তুত করা হয় তাই অপ্রত্যাহারযোগ্য পাওয়ার অব অ্যাটর্নি ।
সাধারণ পাওয়ার অব অ্যাটর্নি:
সাধারণ পাওয়ার অব অ্যাটর্নি আইনের ধারা ২ (৪) এ উল্লেখিত বিষয়ে সম্পাদিত অপ্রত্যাহারযোগ্য পাওয়ার অব অ্যাটর্নি ব্যতিত অন্য কোন বিষয়ে প্রস্তুতকৃত হলে তা হবে সাধারণ পাওয়ার অব অ্যাটর্নি।
এছাড়াও খাস মোক্তারনামা নামে আরেক ধরনের পাওয়ার অব অ্যাটর্নি আছে। কোন সুনির্দিষ্ট একটি কাজ করার জন্য এ ধরনের মোক্তার নামা করা হয়।
রেজিষ্ট্রেশন :
সার্বিক বা বিশেষ আমমোক্তার নামার সত্যায়ন বা নিবন্ধনের বা রেজিষ্ট্রি করার বাধ্যবাধকতা নেই। কিন্তু যদি প্রতিনিধিকে নিবন্ধন আইনের ৩২ ধারা মোতাবেক নিবন্ধনের জন্য দলিল উপস্থাপনের ক্ষমতা দেয়া হয় তবে তা নিবন্ধন আইনের ৩৩ ধারা মোতাবেক অবশ্যই নিবন্ধন কর্মকর্তার সম্মুখে সম্পাদিত এবং তার দ্বারা প্রমাণীকৃত হতে হয় অথবা যে ক্ষেত্রে নিবন্ধন করণ আইন বলবৎ নেই সেক্ষেত্রে কোন ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে অথবা যেক্ষেত্রে বাংলাদেশের বাহিরে সম্পাদিত হয় যেক্ষেত্রে নোটারী পাবলিক, কোন আদালত,বিচারক, ম্যাজিস্ট্রেট, বাংলাদেশের বাণিজ্যদূত বা উপবাণিজ্যদূতের সম্মুখে সম্পাদিত বা প্রামনিত হতে হয়।
অপ্রত্যাহারযোগ্য পাওয়ার অব অ্যাটনি রেজিষ্ট্রেশন বাধ্যতামূলক এবং রেজিষ্ট্রেশন আইনের ৫২(ক) ধারা এর বিধান প্রযোজ্য হবে।