অংশীদারী চুক্তিতে অংশীদারের অধিকার সম্পর্কে যাই লেখা থাকুক অংশীদারী আইনে অংশীদারদের যে সকল অধিকার দেয়া হয়েছে তা সর্বদা স্বীকৃত থাকবে ও কার্যকর থাকবে। এধরনের অধিকারকে অব্যক্ত অধিকার বলে। যেমন:
এজেন্সির অধিকার:
যেহেতু একজন অংশীদার অন্যান্য অংশীদারের প্রতিনিধি সেহেতু তার স্বাভাবিক কার্যক্রম প্রচলিত পদ্ধতিতে সমাধান করার জন্য প্রতিষ্ঠানকে বাধ্য করার অধিকার আছে।
জরুরী অবস্থার অধিকার:
জরুরী অবস্থায় ব্যবসা প্রতিষ্ঠানকে ক্ষতির হাত হতে রক্ষা করতে একজন সাধারন জ্ঞান সম্পন্ন ব্যক্তি যে ব্যবস্থা অবলম্বন করতে পারে সে ধরনের ব্যবস্থা অবলম্বনের অধিকার সকল অংশীদারগণ ভোগ করেন।
নোটিশ গ্রহণ করার অধিকার:
যেকোন নোটিশ একজন অংশীদারগ্রহন করতে পারে এবং এ নোটিশ প্রতিষ্ঠানকে ও সকল অংশীদারের জন্য প্রদত্ত নোটিশ হিসেবে গন্য হবে
আরো যে অব্যক্ত অধিকার অংশীদাররা ভোগ করে তাহলে ফার্মের নামে চেক প্রদান, ব্যবসায়ের পাওনা আদায়, প্রতিষ্ঠানের পক্ষে মামলা ঋন পরিশোধ,, প্রতিষ্ঠানের পক্ষে মামলা দায়ের করা ও মামলা প্রতিহত করা ইত্যাদি।
অব্যক্ত অধিকারের সীমাবদ্ধতা:
অংশীদারী আইনের ১৯(২) ধারা অনুযায়ী ভিন্নরূপ কোনো বাণিজ্যিক প্রথা প্রচলিত না থাকলে একজন অংশীদার নীচের কাজটি করতে পারে না:
১)প্রতিষ্ঠানের ব্যবসা সম্পর্কিত কোন বিবাদ সালিশিতে প্রেরণ করা
২) প্রতিষ্ঠানের পক্ষে নিজ নামে ব্যাংকে হিসাব খোলা
৩) প্রতিষ্ঠানের কোন দাবি সম্পর্কে আপস করা বা দাবির অংশ ত্যাগ করা।
৪)প্রতিষ্ঠানের পক্ষে দায়ের করা কোন মামলা প্রত্যাহার করা।
৫) ফার্মের বিরুদ্ধে আনীত মামলার অভিযোগ স্বীকার করা
৬) ফার্মের পক্ষে স্থাবর সম্পত্তি ক্রয় করা
৭) ফার্মের কোন স্থাবর সম্পত্তি হস্তান্তর করা
৮)প্রতিষ্ঠানের পক্ষে অন্য কোন অংশীদারিত্বে যোগদান করা।